Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ August ২০২৪

ইতিহাস ও কার্যাবলী

ফিডকো ফার্নিচার কমপ্লেক্সের ইতিহাস

বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফআইডিসি) ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি দেশের বনজ সম্পদের টেকসই উন্নয়ন এবং ব্যবহারের লক্ষ্যে কাজ করে। এই প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন বনজ পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, এবং বিপণন করে থাকে। চট্টগ্রামের কালুরঘাটে অবস্থিত ফিডকো ফার্নিচার কমপ্লেক্স বিএফআইডিসির একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট, যা কাঠের আসবাবপত্র উৎপাদন ও বিপণনের জন্য বিখ্যাত।

ফিডকো ফার্নিচার কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠা হয় চট্টগ্রামের কালুরঘাটে। এটি বিএফআইডিসির অধীনে একটি মূল উদ্যোগ হিসেবে কাজ শুরু করে, যার উদ্দেশ্য ছিল দেশের অভ্যন্তরীণ আসবাবপত্রের চাহিদা পূরণ এবং স্থানীয় বাজারে উচ্চমানের পণ্য সরবরাহ করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ফিডকো ক্রমাগতভাবে তাদের উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং পণ্যের গুণগত মান উন্নত করেছে। বর্তমানে, এই কমপ্লেক্স থেকে উৎপাদিত ফার্নিচার দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার ছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করা হয়।

   কার্যাবলী

ফিডকো ফার্নিচার কমপ্লেক্সের প্রধান কার্যাবলী হলো:

  • কাঠের আসবাবপত্র উৎপাদন: এখানে বিভিন্ন ধরনের কাঠের আসবাবপত্র, যেমন বিছানা, টেবিল, চেয়ার, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল, এবং বুক শেলফ তৈরি করা হয়।
  • ডিজাইন ও উন্নয়ন: আধুনিক এবং ঐতিহ্যবাহী ডিজাইন মিলিয়ে ফার্নিচার তৈরি করা হয়। ডিজাইনের দিক থেকে বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্র্য এবং ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ফার্নিচার তৈরি করা হয়।
  • বিপণন ও বিক্রয়: দেশব্যাপী বিভিন্ন আউটলেট এবং শোরুমের মাধ্যমে ফিডকো ফার্নিচার বিক্রি করা হয়। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির জন্য বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়।
  • গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ: উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে উচ্চমানের গুণগত মান নিশ্চিত করা হয়। কাঠের প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত সবকিছুতে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা হয়।

  অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব

ফিডকো ফার্নিচার কমপ্লেক্স দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এটি শুধু কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেই থেমে নেই, বরং এটি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের একটি পরিচিত নাম তৈরি করেছে। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশবান্ধব উৎপাদন পদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

ফিডকো ফার্নিচার কমপ্লেক্সের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: কমপ্লেক্সটি ভবিষ্যতে আরও আধুনিক প্রযুক্তি এবং ডিজাইন সংযোজনের মাধ্যমে তাদের পণ্য বৈচিত্র্যতা বৃদ্ধি করতে চায়। এছাড়া, নতুন বাজার অনুসন্ধান এবং ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন পণ্য উৎপাদনের পরিকল্পনাও রয়েছে।